মঙ্গলবার, ৫ জানুয়ারী, ২০১৬
বিজ্ঞান কি?
বিজ্ঞান
(ইংরেজি: Science) হচ্ছে বিশ্বের যাবতীয়
ভৌত বিষয়াবলী পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, যাচাই, নিয়মসিদ্ধ, বিধিবদ্ধ
ও গবেষণালদ্ধ পদ্ধতি যা জ্ঞানকে
তৈরিপূর্বক সুসংগঠিত
করার কেন্দ্রস্থল। ল্যাটিন শব্দ সায়েনটিয়া থেকে ইংরেজি সায়েন্স শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ বিশেষ জ্ঞান।[১] ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে কোন বিষয়ে প্রাপ্ত ব্যাপক ও বিশেষ জ্ঞানের সাথে জড়িত ব্যক্তি বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানবিদ কিংবা বৈজ্ঞানিক নামে পরিচিত হয়ে থাকেন।
করার কেন্দ্রস্থল। ল্যাটিন শব্দ সায়েনটিয়া থেকে ইংরেজি সায়েন্স শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে জ্ঞান। বাংলা ভাষায় বিজ্ঞান শব্দটির অর্থ বিশেষ জ্ঞান।[১] ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণ ও গবেষণার ফলে কোন বিষয়ে প্রাপ্ত ব্যাপক ও বিশেষ জ্ঞানের সাথে জড়িত ব্যক্তি বিজ্ঞানী, বিজ্ঞানবিদ কিংবা বৈজ্ঞানিক নামে পরিচিত হয়ে থাকেন।
বিজ্ঞানীরা
বিশেষ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে
জ্ঞান অর্জন করেন এবং
প্রকৃতি ও সমাজের নানা
মৌলিক বিধি ও সাধারণ
সত্য আবিষ্কারের চেষ্টা করেন।
বর্তমান বিশ্ব এবং এর
প্রগতি নিয়ন্ত্রিত হয় বিজ্ঞানের মাধ্যমে। তাই
এর গুরুত্ব অপরিসীম। ব্যাপক
অর্থ যে কোন জ্ঞানের
পদ্ধতিগত বিশ্লেষণকে বিজ্ঞান বলা হলেও এখানে
আরেকটি সূক্ষ্ম অর্থে শব্দটি ব্যবহার
করা হবে।
বিজ্ঞানের
ক্ষেত্র মূলত দুটি: সামাজিক
বিজ্ঞান এবং প্রাকৃতিক বিজ্ঞান। জীববিজ্ঞান,
পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন-সহ এ
ধরনের সকল বিজ্ঞান প্রাকৃতিক
বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে
মানুষের আচার-ব্যবহার এবং
সমাজ নিয়ে যে বিজ্ঞান
তা সমাজ বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত। তবে
যে ধরনেরই হোক বিজ্ঞানের
আওতায় পড়তে হল উক্ত
জ্ঞানটিকে সুনির্দিষ্ট পর্যবেক্ষণ এবং পরীক্ষণের মাধ্যমে
প্রমাণিত হতে হবে।
আর একই শর্তের অধীনে
যে গবেষকই পরীক্ষণটি করুন
না কেন ফলাফল একই
হতে হবে। অর্থাৎ
ব্যক্তি চেতনা অনুযায়ী বিজ্ঞানভিত্তিক
পরীক্ষণের ফলাফল কখনও পরিবর্তিত
হতে পারে না।
গণিতকে
অনেকেই তৃতীয় একটি শ্রেণী
হিসেবে দেখেন। অর্থাৎ
তাদের মতে প্রাকৃতিক বিজ্ঞান,
সামাজিক বিজ্ঞান আর গণিত এই
তিনটি শ্রেণী মিলে বিজ্ঞান। ঐ
দৃষ্টিকোণে গণিত হল আনুষ্ঠানিক
বিজ্ঞান আর প্রাকৃতিক ও
সামাজিক বিজ্ঞান হল পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞান। প্রাকৃতিক
ও সামাজিক বিজ্ঞানের সাথে গণিতের মিল-অমিল উভয়ই রয়েছে। গণিত
একদিক থেকে পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের
সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ যে, উভয়টিই একটি
নির্দিষ্ট বিষয়ে পদ্ধতিগত অধ্যয়ন
করে। আর
পার্থক্য হচ্ছে, পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে
পরীক্ষণের মাধ্যমে প্রমাণ করা হলেও
গণিতে কোন কিছু প্রতিপাদন
করা হয় আগের একটি
সূত্রের (প্রায়োরি) উপর নির্ভর করে। এই
আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞান, যার মধ্যে পরিসংখ্যান
এবং যুক্তিবিদ্যাও পড়ে, অনেক সময়ই
পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানের অগ্রগতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। তাই
পরীক্ষণমূলক বিজ্ঞানে উন্নতি করতে হলে
আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞানের প্রসার আবশ্যক।
কিভাবে কোন কিছু কাজ
করে (প্রাকৃতিক বিজ্ঞান) বা কিভাবে মানুষ
চিন্তা করে (সামাজিক বিজ্ঞান)
তা বুঝতে হলে আনুষ্ঠানিক
বিজ্ঞানের কাছে হাত পাতা
ছাড়া উপায় নেই।
বিজ্ঞান
শ্রেণীর অংশ
|
প্রাকৃতিক বিজ্ঞান
|
সামাজিক
ও
ব্যবহারিক বিজ্ঞান |
ফলিত বিজ্ঞান
|
নিয়মানুগ বিজ্ঞান
|
বিজ্ঞানে
নারী
ঐতিহাসিকভাবেই
নারীকে গৃহপ্রকোষ্ঠে আবদ্ধ রাখা হয়েছে। পরিবার
থেকেই তাদেরকে বিজ্ঞান চর্চায় অংশগ্রহণ কিংবা উদ্বুদ্ধ করা
হয়নি। মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২৩ সালে সমান
অধিকার আইন আকারে গৃহীত
হবার পর নারীদেরকে উল্লেখযোগ্য
হারে বিজ্ঞান বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে
দেখা যায়। কিন্ত
বিজ্ঞানে অংশগ্রহণের হার প্রকৌশল বিদ্যার
তুলনায় নিম্নমুখী। বিজ্ঞান
ও প্রকৌশলে ডক্টরেট গ্রহণের সংখ্যা ১৯৭০ সালে
৭% থেকে ১৯৮৫ সালে
৩৪%-এ দাড়ায়।
তন্মধ্যে প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রীর সংখ্যা
যেখানে ছিল ১৯৭৫ সালে
ছিল মাত্র ৩৮৫ জন,
সেখানে ১৯৮৫ সালে ১১০০০
ছাড়িয়ে যায়। শিক্ষাক্ষেত্রে
আইনের মাধ্যমে নারীকে বিশেষায়িত করলেও
এখনো এ পেশায় বেশ
অসমতা বিরাজ করছে।
বিশ্ববিদ্যালয়
পর্যায়ে ১৯৮৯ সালে বিজ্ঞানী
হিসেবে পুরুষের অংশগ্রহণ ছিল ৬৫% এবং
মাত্র ৪০% নারী উচ্চ
পদে আসীন ছিলেন।
যেখানে পূর্ণাঙ্গকালীন একজন বিজ্ঞানীর বার্ষিক
আয় $৪৮,০০০; সেখানে
নারীর আয় ছিল $৪২,০০০।
বিজ্ঞানের
বিভিন্ন শাখার বিখ্যাত ও
প্রভাবশালী কয়েকজন বিজ্ঞানীর ছবি
বাম থেকে ডানে:
শীর্ষ
সারিতে- আর্কিমিডিস, এরিস্টটল, আলহাজেন, লিওনার্দো দা ভিঞ্চি, গালিলেও
গালিলেই, অ্যান্থনি ভন লিউয়েনহুক;
দ্বিতীয়
সারিতে- আইজাক নিউটন, জেমস
হাটন, অ্যান্থনি ল্যাভয়সিয়ে, জন ডাল্টন, চার্লস
ডারউইন, গ্রেগর ইয়োহান মেন্ডেল;
তৃতীয়
সারিতে- লুই পাস্তুর, জেমস
ক্লার্ক ম্যাক্সওয়েল, অঁরি পোয়াঁকারে, সিগমুন্ড
ফ্রয়েড, নিকোলা টেসলা, মাক্স
প্লাংক;
চতুর্থ
সারিতে- আর্নেস্ট রাদারফোর্ড, মারি ক্যুরি, আলবার্ট
আইনস্টাইন, নিলস বোর, এরভিন
শ্রোডিঙার, এনরিকো ফের্মি;
নিচের
সারিতে- জে. রবার্ট ওপেনহেইমার
, অ্যালান টুরিং, রিচার্ড ফাইনম্যান,
ই. ও. উইলসন, জেন
গুড্যাল, স্টিফেন হকিং.
source=wikipedia
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন
(
Atom
)
কোন মন্তব্য নেই :
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন