আসুন নিজে বিজ্ঞান সমন্ধ্যে জানি এবং অন্যকে জানায়

সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৬

জোয়ার ভাটা কি এবং কেন হয়?

কোন মন্তব্য নেই :


জোয়ার ভাটা:পৃথিবীর বাইরের মহাকর্ষীয় শক্তির (বিশেষ করে চাঁদের) প্রভাবে সমুদ্রপৃষ্ঠের পানি ফুলে ওঠাকে জোয়ার নেমে যাওয়ার ঘটনাকে ভাঁটা (একত্রে জোয়ার-ভাটা)
বলা হয়


আপনাদের মধ্যে যারা কক্সবাজার গিয়েছেন তারা একটা দৃশ্য লক্ষ্য করে থাকবেন যে সৈকতের কাছাকাছি কোন বাঁশের গোঁড়ায় লাল পতাকা ঝুলছে। এই লাল পতাকার মানে যারা গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই জানেন। যদি না জেনে থাকেন তাদের বলছি যে লাল পতাকা মানেএখন ভাটা চলছে সমুদ্রে নামা যাবে না কেননা ভাটার সময় সমুদ্রের জলরাশি নেমে যায় এই সময় পানির স্রোত সমুদ্র তীরের বিপরীত দিকে থাকে। আর জোয়ারের সময় পানির স্রোত থাকে তীরের দিকে। জোয়ার-ভাটা একটি প্রাকৃতিক ঘটনা। জোয়ারভাটা কেন হয় তা কি জানেন আপনারা
জোয়ার ভাটা কি এবং কেন হয়
জোয়ার ভাটা কি এবং কেন হয়


জোয়ার-ভাটার কারণ:- পৃথিবীর যে পাশে চাঁদ থাকে সে পাশে চাঁদের আকর্ষণে পৃথিবীপৃষ্ঠের সমুদ্রের পানি তার নিচের মাটি অপেক্ষা বেশি জোরে আকৃষ্ট হয় কারণে চাঁদের দিকে অবস্থিত পানি বেশি ফুলে উঠে একই সময়ে পৃথিবীর যে অংশ চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে, সেদিকের সমুদ্রের নিচের মাটি তার উপরের পানি অপেক্ষা চাঁদ কর্তৃক বেশি জোরে আকৃষ্ট হয় আবার চাঁদ থেকে পানির দূরত্ব মাটি অপেক্ষা বেশি থাকায় পানির উপর চাঁদের আকর্ষণ কম থাকে ফলে সেখানকার পানি চারিদিকে ছাপিয়ে উঠে এক্ষেত্রে ফুলে উঠার কাহিনীটিই ঘটে ফলে একই সময়ে চাঁদের দিকে এবং চাঁদের বিপরীত দিকে পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের পানির এই ফুলে উঠাকে জোয়ার বলে আবার পৃথিবী চাঁদের ঘুর্ণনের কারণে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে গেলে ফুলে ওঠা পানি নেমে যায় পানির এই নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে পৃথিবী যে সময়ের মধ্যে নিজ অক্ষের চারদিকে একবার আবর্তন করে (এক দিনে) সে সময়ের মধ্যে পৃথিবীর যেকোন অংশ একবার চাঁদের দিকে থাকে এবং একবার চাঁদের বিপরীত দিকে থাকে কারণে পৃথিবীর যেকোন স্থানে দুইবার জোয়ার এবং দুইবার ভাটা হয়

জোয়ার-ভাটা দুই প্রকার:মুখ্য জোয়ার এবং গৌণ জোয়ার।

মুখ্য জোয়ার:চন্দ্র পৃথিবীর চারদিকে আবর্তনকালে পৃথিবীর যে অংশ চন্দ্রের নিকটবর্তী হয়, সেখানে চন্দ্রের আকর্ষন সর্বাপেক্ষা বেশি হয়। আকর্ষনে চারদিক হতে পানি এসে চন্দ্রের দিকে ফুলে ওঠে এবং জোয়ার হয়। এরুপে সৃষ্ট জোয়ারকে মুখ্য জোয়ার বা প্রত্যক্ষ জোয়ার বলা হয়।

গৌণ জোয়ার:
চন্দ্র পৃথিবীর যে পার্শ্বে আকর্ষণ করে তার বিপরীত দিকের জলরাশির ওপর মহাকর্ষণ শুক্তির প্রভাব কমে যায় এবং কেন্দ্রাতিগ শক্তির সৃষ্টি হয়। এতে চারদিক হতে পানি স্থানে এসে জোয়ারের সৃষ্টি করে। এভাবে চন্দ্রের বিপরীত দিকে যে জোয়ার হয় তাকে গৌণ জোয়ার বা পরোক্ষ জোয়ার বলে।
 
source:internet

কোন মন্তব্য নেই :

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন